ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

১৪ মার্চ,২০২৩

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক প্রকল্পে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। ভারত ও থাইল্যান্ডের এ ব্যাপারে আপত্তি নেই। তবে বাংলাদেশের আগ্রহে মিয়ানমার কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিশ্চিত নয় সরকার।

মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি সরন চারুয়েনসোয়ান।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এফওসিতে কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল। আমরা আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছি। আমরা ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চাই। ইতোমধ্যে ভারতের সাথে কথা বলেছি, থাইল্যান্ডের সাথেও কথা বলেছি। যদি আমরা যুক্ত হতে চাই, তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো, এটাতে মিয়ানমার কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ত্রিদেশীয় মহাসড়ক ছাড়াও আকাশ ও সমুদ্রপথে যোগাযোগের ব্যাপারে থাইল্যান্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংক রুটে সপ্তাহে ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে চাহিদা থাকলে আরো বেশি ফ্লাইট চালু করা হবে। আকাশপথে যোগাযোগ বাড়াতে থাইল্যান্ডের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) প্রস্তুত রয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেছি। থাইল্যান্ডের সাথে কাজ করার মতো অনেক সম্ভবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। দেশটির সাথে আমাদের বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার। এটা খুব সহজেই দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এটাকে আমরা দুই বিলিয়নে নিতে চাই। আর এজন্য সরকার কাজ করছে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ বাড়াতে বলেছেন। আমাদের সমস্যা একই ধরনের, সক্ষমতাও একই ধরনের। সুতরাং আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি এবং একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখতে পারি।

থাইল্যান্ডের সাথে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) পাইপ লাইনে রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড খুব শিগগিরই বিমসটেক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিমসটেক সম্মেলন থাইল্যান্ড সফলভাবে সম্পন্ন করবে।

থাইল্যান্ডের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের ভালো বন্ধু। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি। সামনে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। অনেক খাতেই আমাদের একসাথে কাজ করার মতো সম্ভবনা রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা একে অপরকে সমর্থন দিতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে কিভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে আমাদের একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল এসেছে।

মন্তব্য

মতামত দিন

অর্থনীতি পাতার আরো খবর

বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল শুরু

নিউজ ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও . . . বিস্তারিত

যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ খাদ্যপণ্য আমদানি করে

নিউজ ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর, হঠাৎ করে দেশে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে . . . বিস্তারিত

 

 

 

 

 

 

ফোন: +৮৮০-২-৮৩১২৮৫৭, +৮৮০-২-৮৩১১৫৮৬, ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৮৩১১৫৮৬, নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০-১৬৭৪৭৫৭৮০২; ই-মেইল: rtnnimage@gmail.com