এবার রাবির হলে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৩

এবার রাবির হলে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
ঢাকা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অত্যাচারে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি রামেকের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে সাত দিন থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের করে একই হলের দোলন নামের ওই সিনিয়র শিক্ষার্থী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগী ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়ার সাথে অভিযুক্ত দোলনের কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দোলন রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে অভিযুক্ত দোলন ওই দিন রাতেই হলের দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবার সামনে ক্ষমা চাইলেও ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেত্রীরা তাকে বিভিন্নভাবে শাসান। এরপর দোলন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রায়ের সহায়তায় প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত দোলনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং অভিযুক্ত দোলন। এ সময়ই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জ্ঞান হারান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকেই আমার দফতরে ডেকেছি। নির্যাতনের বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবোর্চ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ দিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোলনসহ অভিযুক্তদের হল থেকে বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সকল শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

মতামত দিন

প্রধান খবর পাতার আরো খবর

ইবিতে র‍্যাগিং: অভিযুক্তের ‘পা ধরে ক্ষমা’ চেয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধিআরটিএনএনকুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটির ডাকে চতুর্থবাবের মতো ক্যাম্ . . . বিস্তারিত

করোনার অজুহাতে কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে চায় সরকার

নিউজ ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গেল বছরের ১৮ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ক . . . বিস্তারিত

 

 

 

 

 

 

ফোন: +৮৮০-২-৮৩১২৮৫৭, +৮৮০-২-৮৩১১৫৮৬, ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৮৩১১৫৮৬, নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০-১৬৭৪৭৫৭৮০২; ই-মেইল: rtnnimage@gmail.com