Image description

 নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ ও গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলাম ও সমমনা দলগুলোর চতুর্থ দফা অবরোধ চলছে। রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বেশিরভাগ গণপরিবহন। এছাড়া সকাল থেকে দেখা যায়নি যাত্রীদেরও তেমন আনাগোনা।

ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১২ নভেম্বর) শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে মঙ্গলকার (১৪ নভেম্বর) ভোরে। ৪৮ ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে দলগুলোর পক্ষ থেকে।

রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১১টা পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। বেশিরভাগ বাস কাউন্টারই ছিলো বন্ধ। এছাড়া যারা কাউন্টার খুলে রেখেছেন, তারাও যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছেন। যাত্রী না থাকায় কাউন্টার খোলা রেখে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করছেন কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ সফল করতে জনসাধারনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এক ভিডিও বার্তায়। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্যামাপূজার কার্যক্রম এই অবরোধ কর্মসূচীর আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়। এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে রাজধানীতে অন্তত সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

দলটির এই আন্দোলন কর্মসূচী শুরু হয় গত ২৮ অক্টোবর। পল্টনে মহাসমাবেশ পন্ড হওয়ার পর মঞ্চ থেকে পরের দিন অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। একই ঘোষণা আসে জামায়াতে ইসলামী থেকে। এরপর ৩১ ও ১ ও ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী। এরপর ৩ ও ৪ নভেম্বর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই অবরোধ শেষ হলে ৭ নভেম্বর বিরতি দিয়ে ৮ নভেম্বর থেকে আরও ৪৮ ঘণ্টা টানা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেটা শেষ হওয়ার পর নতুন করে আরো ৪৮ ঘন্টার ঘোষণা আসে। যা আজ থেকে শুরু হয়েছে।

এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আর এ সহিংসতার ভয়ে সড়কে গাড়ি চলাচল কমেছে। নিরাপত্তার আতঙ্কে শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সহিংসতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে আসছে বছরের শুরুতে জানুয়ারির ৫ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সে হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে সব মিলিয়ে দুই মাসেরও কম সময় রয়েছে।