Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরটিএনএন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু বকর হত্যা মামলা পুনরায় খোলার দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির দাবি, ২০২০ সালে পুলিশের গুলিতে আবু বকর নিহত হলেও ‘স্ক্যাম’ করে হত্যার দায় এড়ানো হয়েছে।

তাদের মতে, আবু বকর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আবু বকর হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামের দিনমজুর পরিবারের সন্তান আবু বকর। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।’ তিনি হত্যা মামলাটি পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ‘আবু বকর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী প্রার্থী ছিলেন এবং পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন।’

লিখিত বক্তব্যে আবু বকরের মৃত্যুর বিবরণ তুলে ধরা হয়: ‘২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর পুলিশ হলে গুলি চালায়।

আত্মরক্ষার্থে আবু বকর তার কক্ষের বারান্দায় আশ্রয় নেন, সেখানেই পুলিশের গুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘ওই সময় ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সোচ্চার হতে পারেনি। এ সুযোগে হত্যাকাণ্ডটি ‘স্ক্যাম’ করে রাখা হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: মামলার সকল আনুষ্ঠানিকতা পুনরায় শুরু, তৎকালীন ওসি রেজাউল করিমসহ সকল জড়িত পুলিশ সদস্যকে আসামি করা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং প্রক্টরকে শাস্তির আওতায় আনা, আবু বকরের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান, পরিবারের সদস্যদের সরকারি খরচে হজ করার ব্যবস্থা এবং আজীবন চিকিৎসা ও গণপরিবহনে বিনামূল্যে চলাচলের সুযোগ প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।