Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: ফের লেবানন সীমান্তে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ ঘটেছে। সোমবার ইরান সমর্থিত স্বশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর রকেট হামলার মধ্য দিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইসরাইলভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে প্রথম হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) ঘাঁটি বিরানিতকে লক্ষ্য করে রকেট ও ড্রোন হামলা করে। এতে ওই সেনা ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় আইডিএফ দক্ষিণ লেবাননে আর্টিলারি দিয়ে গোলা বর্ষণ করে। এরপর আরো দু’টি ঘাঁটি আরব আল-আরামশে এবং বারআমের উত্তর সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে তারা রকেট হামলা চালায়। কিন্তু সেখানে কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

 ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরদিন থেকে এই পর্যন্ত হিজবুল্লাহ ইসরাইলে এক হাজারের অধিক রকেট, মর্টার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে, চলমান ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে ইসরাইলি সৈন্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর জনরোষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি লেখকরা গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের সাথে চলমান যুদ্ধে নিহত কর্মকর্তা ও সৈন্যদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি তাদের অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্বঘোষিত কর্মী ড্যান আদিন এক্স বার্তায় বলেছেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আজ ৪৩তম দিন। ধীরে ধীরে অনেক রক্ত দিতে হচ্ছে। কিন্তু একেবারে কেউই ভাবছে না যে এর রাজনৈতিক লক্ষ্য কী? কে গাজা শাসন করবে?

তিনি সতর্ক করে বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি যুদ্ধ বিপর্যয় প্রস্থান কৌশল ছাড়াই কাদায় ডুবে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

লেখিকা তামার মেইতাল লিখেছেন, ‘হামাস আন্দোলনকে নির্মূল করা এমন একটি লক্ষ্য যা অর্জনযোগ্য বলে মনে হয় না।’

লেখক ওরেন সাইমন সেনাবাহিনী মৃত্যুর বৃদ্ধিকে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মক্ষমতার সাথে যুক্ত করে বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু যা খুঁজছেন, তা হলো তিনি আবারো একই জায়গায় থাকবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী শনিবার সন্ধ্যা থেকে উত্তর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে নিহত আরো তিনজন সৈন্যের নাম প্রকাশ করেছে। তাদের নিয়ে নিহত সৈন্য ও অফিসারের মোট সংখ্যা ৩৮০ জনে পৌঁছেছে।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল