Image description

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে বলে সাবধান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে। দেশটির শান রাজ্যে সম্প্রতি বিদ্রোহ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমন অবস্থায় ওই যুদ্ধ সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুরো দেশই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিবিসি’র খবরে জানানো হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর সাবেক জেনারেল মিন্ত সোয়েকে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট করা হয়। শান রাজ্যের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে। তবে তাদেরকে ওই রাজ্যের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও সমর্থন দিচ্ছে। গোটা রাজ্য থেকেই সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহ জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা জান্তা সরকারের বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি, সীমান্ত পারাপার এবং রাস্তা দখল করে নিয়েছে। এই সীমান্ত পারাপার এবং রাস্তা ব্যবহার করে চীনের সঙ্গে স্থল বাণিজ্যের বেশির ভাগ পরিচালিত হতো। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ। 

 প্রায় আড়াই বছরের লড়াই শেষে এখন মনে হচ্ছে যে, সামরিক বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং হয়তো তাদের এখন পরাজিত করাটাও সম্ভব।

যদিও বিদ্রোহীদের তৎপরতার জবাবে জান্তা সরকার শত শত বিমান হামলা করেছে এবং কামান থেকে গোলা ছুড়েছে। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে এরপরও যে ভূখণ্ডের দখল তারা হারিয়েছে তা আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। কারণ দেশটিতে সেনা শাসনের পক্ষে কোনো জনমতই নেই। উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে এই লড়াইয়ে শত শত সৈন্য নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং কিয়াও লিউইনও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিহত হওয়া তিনিই সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা। এই হামলার আরও তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি হলো, প্রথমবারের মতো শান রাজ্যে পরিচালিত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নিজেদেরকে এবং তাদের সামরিক অভিযানগুলোকে সরকারের বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছে। যাদের প্রধান লক্ষ্য হলো জান্তা সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু করা।