Image description

নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
ভোলা:  ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুল করিম। এখনো দিব্যি চলাফেরা করছেন। অথচ তাকে জানানো হয়েছে তিনি মারা গেছেন।

 এমন ঘটনা ঘটেছে দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চতলা এলাকার সৈয়দ মৌলুভী বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল করিমের সাথে।

তিনি জানান, পারিবারিকভাবেও আমি তেমন স্বচ্ছল না। তাই বয়স হওয়ায় একটি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করি। এরপর ২০২০ সালে আমার নামে একটি বয়স্ক ভাতা চালু হয়। দুই বছরের মতো ওই ভাতা ঠিক মতোই পাচ্ছিলাম। তিন মাস পর পর এক হাজার ৫০০ টাকা করে মোবাইলে আসত। তবে হঠাৎ ওই টাকা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সমাজসেবা অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি ‘আমি মারা গেছি’। যার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার স্থানে অন্য একজনের নাম দেয়া হয়েছে। এ জন্য ভাতা বন্ধ।

 বৃদ্ধ আব্দুল করিম জানান, আমি হেঁটে সমাজ সেবা অফিসে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে নিজের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বিশ্বাস করতে পারিনি। এমন খবর শুনে হতবাক ও বিস্মিত হয়ে যাই। পরে বিষয়টি জানতে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে যাই। তিনি আমাকে জানান, এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, কারা এসব করছে তা জানি না। সচিব বলেছে এখানে তার কোনো হাত নেই, তিনি কিছু করতে পারবেন না।

 তিনি আরো জানান, বয়স হয়েছে। শরীরে অনেক রোগ। স্ত্রীও অসুস্থ্য। এই ভাতার টাকা দিয়ে অন্তত ওষুধ কিনতে পারতাম। এখন ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই অনেক কষ্টে চলতে হচ্ছে। আমার ভাতাটি পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে এই প্রতারণার মাধ্যমে যারা আমি জীবিত থাকার পরেও মৃত বলে আমার ভাতা বন্ধ করেছে তাদের শাস্তি কামনা করছি।

 লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জহরলাল দাস বলেন, আব্দুল করিম নামে ওই বৃদ্ধ জীবিত রয়েছেন। তিনি একটি বয়স্ক ভাতা পেতেন। তবে তাকে নাকি মৃত দেখিয়ে সমাজ সেবা অফিসে তালিকা দেয়া হয়েছে। যার জন্য বৃদ্ধ আব্দুল করিমের ভাতাটি বন্ধ হয়ে যায়। কারা তাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি এসব প্রতারক চক্রের শাস্তি কামনা করছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: মাসুদ জানান, এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। ওই লোক অফিসে এসে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।