
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার দেশকে চরম সংকটাপন্ন করে তুলছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশ-বিদেশে বৈধতা পাবে না। সরকার প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচন করতে ব্যর্থ।
রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে শনিবার বিকালে দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী ও ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা ওসমান গণীকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, সরকারের একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী মানবে না। কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম-নির্যাতন, দমন-পীড়ন করে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে।
দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে পোশাক শিল্পে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বলা যায় আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করা চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
Comments