Image description

খেলা ডেস্ক
আরটিএনএন: ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ও নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা অর্জনগুলোর একটি। এবার সাদা পোশাকে আরো একটি বড় সাফল্য পেল টাইগাররা।

 টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রাপ্তির সংখ্যা কম। নেই তেমন কোনো সাফল্যগাঁথা। বড় দলগুলোর বিপক্ষে কোনো জয় এখনো রূপকথা! ওই রূপকথার গল্পে নতুন সংযোজন ঘরের মাঠে কিউইদের হারানো।

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ শুরু করেছিল টস জিতে, শেষ করল দারুণ দাপটে কিউইদের হারিয়ে। অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত দেশকে উপহার দিলেন বড় এক জয়। যেখানে বড় কীতৃত্ব তাইজুল ইসলামের। দুই ইনিংস মিলে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের ইনিংসের পরেও ৩১০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে কিউইদের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৭ রানে। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ থামে ৩৩৮ রানে। নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩২ রানের।

৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ৭১.১ ওভারে ১৮১ রানে। বাংলাদেশ ইতিহাস গড়া জয় পায় ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে। ৭৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২ বার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির স্বাদ।

 ৭ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিন শেষ করার পর জয় ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচের লাগাম হাতের মুঠোয় নিয়েই শুক্রবার ঘুমাতে যায় টাইগাররা। রাতটা যেন ছিল চাঁদ রাতের মতো, ঈদের বার্তা পেয়ে গেছে সবাই, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতার পালা।

অপেক্ষা শেষ হয়েছে শেষ দিনের প্রথম সেশনেই। বেশি সময় নেয়নি টাইগার বোলাররা। ডেরিয়েল মিচেলকে ফিরিয়েই দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের শেষ আশা-ভরসা হয়ে বেঁচে থাকা এই ব্যাটারকে ফেরান নাইম হাসান। আউট হওয়া আগে অবশ্য ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফেরেন ১২০ বলে ৫৮ রানে।

নবম উইকেট জুটিতে টিম সাউদি ও ইশ সোধি মিলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রানের জুটি গড়লেও তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। সোধি ৯১ বলে ২২ ও সাউদি ফেরেন ২৪ বলে ৩৪ রানে। দুজনকেই ফেরান তাইজুল। ৭১.১ ওভারে সোধিকে আউট করতেই উল্লাসে মেতে উঠে বাংলাদেশ।

 বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) :
৩১০/১০ (৮৫.১ ওভার), (জয় ৮৬, জাকির ১২, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ১২, মিরাজ ২০, দিপু ২৪, সোহান ২৯। ফিলিপস ৪/৫৩)।

নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস) :
৩১৭/১০ (১০১.৫ ওভার), (লাথাম ২১, কনওয়ে ১২, উইলিয়ামসন ১০২, নিকোলস ১৯, মিচেল ৪১, ফিলিপস ৪২, সাউদি ৩৫, জেমিসন ২৩। তাইজুল ৪/৮৯, মুমিনুল ৩/৪)।

বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) :
৩৩৮/১০ (১০০.৪ ওভার), (জাকির ১৭, জয় ৮, শান্ত ১০৫, মুমিনুল ৪০, মুশফিক ৬৭, দিপু ১৮, মিরাজ ৫০*, সোহান ১০)।

নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস) :
১৮১/১০ (৭০.১ ওভার), (কনওয়ে ২২, উইলিয়ামসন ১১, মিচেল ৫৮, সাউদি ৩৪। তাইজুল ৬/৭৫)

বাংলাদেশ ১৫০ রানে জয়ী।