
রাবি প্রতিনিধি
আরটিএনএন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চিহ্নিত হামলাকারী ও গণহত্যায় মদদদাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
আজ রোববার (৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বহিরাগতদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ছাত্রদলের দলীয় ব্যানারে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস, একসঙ্গে চলে না’, ‘হই-হই, রই-রই, ছাত্রলীগ গেলি কই’, ‘হই-হই, রই-রই গুপ্ত শিবির গেলি কই’, ‘আয় গুপ্ত দেখে যা রাজপথে তোর বাপেরা’, ‘বোমাবাজের রাজনীতি, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
ছাত্রদলের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- আবাসিক হলসমূহে পবিত্র কুরআন পোড়ানো ও একাডেমিক ভবনে পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করতে হবে, ছাত্রশিবির সহিংস আন্দোলনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিত হামলাকারী ও জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় মদদদাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, একজন ভিসির বাসভবন তালা মেরে যে সহিংস রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনো আতঙ্কিত হয়ে আছে। অতীতে যেভাবে নেতাকর্মীদের রগ কেটে ও বোমার রাজনীতি করা হয়েছে, সেই রাজনীতির পুনরাবৃত্তি আমরা অনুধাবন করছি। সেই বর্বর রাজনীতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা হতে দেব না।
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে- এমন দাবি উল্লেখ করে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্ট একটা ধর্ম ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেই চলেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানো ও শিক্ষকের বাসায় হামলা একই সূত্রে গাঁথা। তাদের ইন্ধনেই এমন ঘৃণ্য কাজ হয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের প্রকাশ্যে আনুক।
তিনি বলেন, দোষীদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে নতুবা আমরা ধরে নেব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে সরাসরি জড়িত।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু, সরদার জহুরুল হক, এমএ তাহের রহমান, শাকিলুর রহমান সোহাগ, আহ্বায়ক সদস্য নাফিউল ইসলাম, নুরুদ্দিন আবির প্রমুখ।
Comments