
বিনোদন ডেস্ক
আরটিএনএন: মামলায় জড়িয়ে পড়লেন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হিরো আলম। তার নামে বিয়ের প্রতিশ্রুতিসহ নায়িকা বানানো স্বপ্ন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উঠেছে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও। অভিনেতাসহ ছয়জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত রোববার (৪ মে) বগুড়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ এক নারী এ মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক ওই নারীর অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে নিয়েছেন তার জবানবন্দি। শুধু তাই নয়, তিনি এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
হিরো আলমের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং বগুড়া পুলিশ সুপারকে। তদন্তের পর রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
সেই নারী হিরো আলম ছাড়াও যে পাঁচজনের নামে অভিযোগ করেছেন, তারা হলেন— হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, তার দুই সহকারী আল আমিন, মালেক এবং মালেকের স্ত্রী জেরিন ও আহসান হাবিব।
এ অভিযোগে সেই নারী জানিয়েছেন, হিরো আলম তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, দিয়েছিলেন নায়িকা বানানোর আশ্বাস। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাড়ি ভাড়া করে তারা একসঙ্গে থাকেন বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু ইতোমধ্যে সেই নারী গর্ভবতী হলে তাকে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চাপ দেওয়া হয় গর্ভপাত করানোর। তিনি গর্ভপাত না করতে চাইলে তার সহযোগী ওই পাঁচজন এবং হিরো আলম তাকে মারধর করেন বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন সেই নারী। সে মারধরের ফলে তার রক্তক্ষরণ হয়। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। সেখানেই তার গর্ভপাত হয় বলে জানান ওই নারী। গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানান ওই অভিযোগকারিণী।
কেবল ধর্ষণ ও গর্ভপাত কিংবা নায়িকা বানানোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি নয়, হিরো আলমের বিরুদ্ধে এ নারী ১৫ লাখ টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগও এনেছেন। যদিও এই অভিযোগ স্বীকার করেননি হিরো আলম। তিনি বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন— তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
Comments