
বিনোদন ডেস্ক
আরটিএনএন: জীবনের কোনো কঠিন স্মৃতি যদি পর্দার কাহিনীর সঙ্গে মিলে যায় তা যেকোনো ব্যক্তিকে বেশ নাড়া দেয়। আর কোনো অভিনয়শিল্পীর নিজের জীবনের তেমনই কোনো কাহিনী যদি তার সিনেমায় আবারও ফিরে আসে তা তার জন্য একইসঙ্গে কঠিন ও কষ্টেরও। ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিনতার সঙ্গে। আর এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সিনেমা ‘কাল হো না হো’।
এই সিনেমার একটি বিশেষ দৃশ্য—শেষ মুহূর্তে শাহরুখ খানের বিদায়—দর্শকের চোখে পানি এনে দেয়। সম্প্রতি এ বলিউড অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দৃশ্যটি তাকে ব্যক্তিগতভাবেও খুব নাড়া দিয়েছিল। কারণ, তার প্রথম প্রেমিকও মারা গিয়েছিলেন এক ভয়ানক সড়ক দুর্ঘটনায়।
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাল হো না হো ছবিটির কেন্দ্রে ছিল প্রেম, বিচ্ছেদ ও মৃত্যু। সিনেমার শেষ মুহূর্তে শাহরুখের মৃত্যুর খবর জানার সময় প্রীতির চরিত্র ‘নায়না’র আবেগ যেন মিলেমিশে গিয়েছিল তার নিজের বাস্তব অনুভূতির সঙ্গে।
প্রীতি বলেন, ‘আমার প্রথম প্রেমিক একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তখন আমি খুব কম বয়সী ছিলাম। কাল হো না হো-এর শেষ দৃশ্য করতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, আমি যেন আবার সেই সময়টায় ফিরে গেছি। আমার কান্না ছিল একেবারেই সত্যিকারের, কোনো অভিনয় নয়।’
কলেজজীবনের সেই সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ও ছিল খুব ভালো একজন মানুষ। সম্পর্কটা ছিল একদম নিখাদ ও নির্ভেজাল। তার হঠাৎ মৃত্যু আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল।’
এই অভিজ্ঞতা প্রীতির ভেতরে এমন গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার রেশ তিনি আজও টের পান। ‘অনেক সময় আমরা অভিনয় করি, কিন্তু কিছু দৃশ্য থাকে যেগুলো আমাদের জীবনের বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়। কাল হো না হো-এর সেই মুহূর্তগুলো আমার নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল।’
প্রীতি জিনতার ঝুলিতে রয়েছে ‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘কোই মিল গয়া’, ‘বীর-জারা’র মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা। তবে ‘নায়না’ চরিত্রটি যেন তার নিজের অনুভূতির সঙ্গে এতটাই মিশে গেছে, যে সিনেমাটির প্রতি তার টান আজও অটুট।
বর্তমানে বলিউডে নিয়মিত না হলেও, ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন প্রীতি। তবু সময় পেলে ফিরে যান পুরোনো সিনেমার স্মৃতিতে। ‘আমি আজ যেখানেই থাকি না কেন, আমার ভেতরে এক টুকরো ‘নায়না’ এখনো বেঁচে আছে,’ বলেন অভিনেত্রী।
Comments