Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন: জামায়াতের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন দলটির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে মোহাম্মদ নাদিমুর রহমান। শুধু তাই নয়, মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেয়ে যেন জামায়াতের হাল ধরেন-এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন তিনি। 

মতিউর রহমান নিজামী ২০০০ সালে তিনি জামায়াতের আমির হন। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সংসদ নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি (২০০১-২০০৩) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (২০০৩-২০০৬) মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ১১ মে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। 

জামায়াতে সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজামীপুত্র লেখেন, কথাগুলো শতভাগ সত্য এবং যৌক্তিক৷ আর জামায়াতের নীতি-আদর্শ থাকবেই বা কী করে? জামায়াতের যেই ছয় নেতার অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের এই ফাঁসি ঠেকাতে পারলেই না জামায়াতের নীতি-আদর্শ ঠিক থাকতো৷ উলটো ছোটজন বলেছিলেন- ‘তারা এখন জেলখানায় আরাম করুক আর আমরা এখন একটু খাই’৷ আর বড়টা তো পরে মুখ ফসকে বলেই ফেলেছিলেন- ‘তারা জেলখানায় পচে মরুক, আমরা আমাদের সংগঠন গোছাবো, না হলে আমাদের সন্ত্রসী সংগঠন বানিয়ে দেবে৷’ পরবর্তীতে তো আবার আরেকটা সলিমুদ্দীন না কলিমুদ্দীন কি নাম, এক বক্তৃতায় তো বললেনই- ‘আমরা যদি আইন না মানতাম তাহলে আপনারা আমাদের একটা নেতাকেও ফাঁসি দিতে পারতেন না’৷ আরে, ছাত্ররাও যদি আইন মানতো, তাহলে এই জালেম হাসিনা সরকারের পতন জীবনেও ঘটাইতে পারতো না৷ 

নাদিমুর রহমান আরও বলেন, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছিলেন, ‘When injustice becomes law resistance becomes duty’. অর্থাৎ ‘অবিচার যখন হয়ে যায় আইন, প্রতিরোধ তখন হয়ে যায় দায়িত্ব’৷আর বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার কথা বলে কে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চায় এটা পুরো ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। এখন আবার শুরু করেছে সকালে এক কথা আর রাতে আরেক কথা বলা৷ আবার অন্যদিকে এক নেতার এক কথা আবার আরেক নেতার আরেক কথা৷ অর্থাৎ কোনোটার সঙ্গে কোনোটার মিল নেই৷ 

‘আর তাইতো দোওয়া করি এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব দ্রুত মুক্তি পেয়ে শহিদের এই রক্তভেজা সংগঠনটির (জামায়াত) হাল ধরুক৷ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন উনাকে নেক হায়াত এবং সুস্থতা দান করুন৷ আমীন...’।