
নিজস্ব প্রতিনিধি
আরটিএনএন
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এক মাস আগে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে সংগঠনের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।
শনিবার সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানান হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়-সম্মেলন থেকে তাদের দাবি বাস্তবায়নে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে বেঁধে দেওয়া সেই সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ মাওলানা মামুনুল হকসহ যেসব আলেম কারাবন্দি রয়েছেন তাদের মুক্তি এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে কোনো বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম ও আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে সংগঠনটির মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে হেফাজত আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে, হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা আবদুল খালেক জানান, শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিটি হেফাজত মহাসচিবের। এছাড়া কর্মসূচির ব্যাপারে হেফাজত আমিরের সঙ্গে সংগঠনের মহাসচিব এখনো কোনো আলাপ-আলোচনা করেননি। বিবৃতিতে স্পষ্ট লেখা আছে, আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে কারাবন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয়নি বলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আসছে হেফাজতে ইসলামের কঠোর কর্মসূচি। এর সত্যতা জানতে চাইলে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরিস জানান, আমাদের আর কিছুই করার নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা করতে হয়, হেফাজত তা-ই করবে। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দেওয়া।