Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক 
আরটিএনএন 
ঢাকা: ১২ দলীয় জোটের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, স্টেশনে বিকল হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না। কারণ, জনগণ ইতোমধ্যে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এবার এ দেশে আর কোনো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না।

তারা আরও বলেন, যে নির্বাচনের ট্রেন মাস্টার আওয়ামী লীগ, সেই নির্বাচন নৌকায় ৫৭ মিনিটে ৪৫ ভোটে পরিণত হবে। তাই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতই এই একতরফা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখান করেছে। জনগণের দাবি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন।

আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে একতরফা তপশিল বাতিল এবং একদফার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী চলমান নবম দফার ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিজয়নগর ঘুরে পল্টন মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ১২ দলের নেতারা।

 জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের পতন ঘন্টা অতীব নিকটে। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে এখন বিভিন্ন দলছুট নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। দলছুট নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অবৈধ ভোটে এমপি -মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান। শেষ বেলায় দেখবেন এই আওয়ামী লীগ আপনাদের কিছুই দিবে না।

জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাঁরা এখন পুলিশ বাহিনীর উপর ভরসা করে টিকে আছে। তাঁরা দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় রাখলে বাংলাদেশ কঠিন বিপদে পড়তে পারে।

জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, স্যাংশন চাপে আওয়ামী লীগ এখন পশ্চিমা কূটনীতিকদের হাতেপায়ে ধরা শুরু করেছে। এই সরকার জানে- এবার বিদায় হলে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা হয়ত বাংলার মাটিতে থাকবে না। তাই তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর মাওলানা আব্দুল কারিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, হামিদুল করিম আব্বাসী, ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য জোটের ইলিয়াস রেজা, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন , ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমুখ।