
খেলা ডেস্ক
আরটিএনএন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে। গত মাসের শুরুতে বোর্ড সভায় জাতীয় তারকাদের পারিশ্রমিক সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
এ বছর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য ২ লাখ, ওয়ানডের জন্য ৩ লাখ ও টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ৬ লাখ টাকা করে ফি পান ক্রিকেটাররা। গত বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা খুব একটা নেই। তারপরও বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বেড়ে যাওয়ায় ২০২৫ সালে বেতন এবং ম্যাচ ফি থেকে খেলোয়াড়দের আয়ের অঙ্ক দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
এই বছরে আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামে (এফটিপি) থাকা দ্বি-পাক্ষিক সফরসূচিতে ৬ টেস্ট, ১০ ওডিআই এবং ১২ টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। পাশাপাপাশি সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে গ্রুপ পর্বের বাধা বেরুতে না পারলেও ৩টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ম্যাচগুলোর সব ক'টি খেলতে পারলে একজন ক্রিকেটার শুধু এই খাত থেকে আয় করবেন ১ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা! এই বছরটিতে বেতন এবং ম্যাচ ফি থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আয়ের হাতছানি ছিল অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদের সামনে। তবে 'এ' প্লাস গ্রেডে মাসে ১০ লাখ টাকা বেতনের ক্যাটাগরিতে থাকা একমাত্র এই ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মিস করায় তার আয়ের অঙ্ক এবার হচ্ছে না প্রত্যাশিত।
আর শুধুমাত্র লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থেকেও বেতন-ম্যাচ ফি খাত থেকে সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের আয় ছাড়িয়ে যাবে কোটি টাকা।
আগামী বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা বাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ফলে বেতন-ম্যাচ ফি খাত থেকে চুক্তিবদ্ধ এক একজন ক্রিকেটারের আয়ের হতে পারে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। আইসিসির এফটিপিতে ২০২৬ সালে ৮ টেস্ট, ২০ ওডিআই, ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বরাদ্দ আছে বাংলাদেশ দলের।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৪ ম্যাচ এবং পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ন হলে ক্রিকেটারদের আয়ের সীমা ছুঁয়ে ছাড়িয়ে যাবে অতীতের সব রেকর্ডকে।
বর্ধিত ম্যাচ ফি'র হিসাবে কোনো ক্রিকেটার ২০২৬ সালে সবকটি ম্যাচ খেলতে পারলে বছর শেষে ম্যাচ ফি'র অঙ্কটা দুই কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই করবে। এর সাথে বেতন থেকে বছরে কারো কারো কোটি টাকা আয়ের সুযোগ তো আছেই। এর বাইরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) এবং বিদেশে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে মোটা অঙ্ক আয়ের সুযোগ তো থাকছে।
এক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে বছরে আয়ের হিসেবে পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার পালা সাকিবের উত্তরসূরিদের। নিজেকে ফিট রেখে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে মগ্ন থাকলে তাসকিন, নাজমুল হোসেন শান্তদের আয়ের অঙ্ক পাঁচ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাওয়াও অসম্ভব কিছু নয়।