
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আরটিএনএন: জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দী গ্রামের পলাশের লাশ উত্তোলনে বাধা দিয়েছে পরিবার। পরিবারের বাধা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সদস্যরা।
পলাশ ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। গত ১৯ জুলাই মিরপুর ১০-এ দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। পলাশকে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে তারা স্ত্রী রেশমা সুলতানা।
জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রো পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে আবেদন করেন। আদালত লাশ তুলে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভূঞাপুরের সহকারী কমিশনার (ভৃমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামসহ তদন্ত কর্মকর্তা লাশ তুলতে ঘাটান্দী গ্রামে যান।
এ সময় গেলে মামলার বাদী রেশমা সুলতানা লাশ না তোলার জন্য আবেদন করে। পাশাপাশি পলাশের বৃদ্ধা মা লাশ উত্তোলনে বাধা দেয়। পরে লাশ না তুলেই ফিরে আসেন তারা।
ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীর আবেদন ও স্বজনদের আপত্তির কারণে লাশ তুলতে পারি নি। বিষয়টি মহামান্য আদালতকে জানানো হবে।