
খেলা ডেস্ক
আরটিএনএন: গত বছরই ক্রিকেটারদের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি।
তবে গত মাসে ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রী চুক্তি ঘোষণা করে বিসিবি। সেই ঘোষণার পর জানা যায় টাইগারদের পারিশ্রমিকও বাড়ছে। এ বছর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য ক্রিকেটাররা ২ লাখ করে পারিশ্রমিক পাবেন, ওয়ানডের জন্য পাবেন ৩ লাখ আর টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য পাবে ৬ লাখ টাকা করে।
‘এ' প্লাস গ্রেডে মাসে ১০ লাখ টাকা বেতনের ক্যাটাগরিতে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদের সামনে বছরে আড়াই কোটি টাকা আয়োর সুযোগ ছিল। কিন্তু চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলের বাইরে থাকায় সেই সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে।
বর্ধিত ম্যাচ ফি'র হিসেবে কোনো ক্রিকেটার যদি ২০২৬ সালে নিজেকে ফিট রেখে সবকটি ম্যাচ খেলতে পারে তাহলে পাঁচ কোটি টাকা আয়ের জোড়ালো অসম্ভবনা থাকবে।
বছর শেষে ম্যাচ ফি'র অঙ্কটা দুই কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই করবে। এর সাথে বেতন থেকে বছরে কারো কারো কোটি টাকা আয়ের সুযোগ তো আছেই। এর বাইরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) এবং বিদেশে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে মোটা অঙ্ক আয়ের সুযোগ তো থাকছে।
বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বাড়িয়ে প্রশংসা পাচ্ছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক ভাই। তবে আমি এটাকে স্বাভাবিকই বলবো। কারণ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ব্রান্ড ভেল্যুটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য বেড়েছে। আইসিসি,এসিসি বিভিন্ন খাত থেকে বিসিবির আয়ের মাধ্যম ক্রিকেটাররাই।’
Comments