Image description

নিজস্ব প্রতিবেদক 
আরটিএনএন: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) নতুন শুল্ক ‘ট্যারিফ অন গুডস অ্যান্ড ভেসেলস এক্সসেট্রা ফর চিটাগং পোর্ট অথোরিটি- ২০২৫’ আগামী ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে কার্যকর হচ্ছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এক কর্মশালায় নৌ-পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে বন্দর ব্যবহারকারীরা এ বিষয়ে আপত্তি তুলে ধরেন। আপত্তির মুখে উপদেষ্টা বর্ধিত শুল্ক আদায় এক মাস পেছানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বর্ধিত শুল্ক আদায়ের পরিপত্র জারি হয়েছিল। এ হিসেবে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর থেকে সেটা আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মো. আবদুস শাকুরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ অক্টোবর রাত ১২টার পর চট্টগ্রাম বন্দরে আসা সব জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিল নতুন রেট অনুযায়ী নেয়া হবে। একইভাবে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিসহ সব বন্দর ব্যবহারকারী বর্ধিত হারে মাশুল পরিশোধ করবেন। তালিকাভুক্ত সব শিপিং এজেন্টকে তফসিলি ব্যাংকে তাদের হিসাব নম্বরে বর্ধিত হারে যথাযথ অর্থের সংস্থান রেখে আসা জাহাজের ছাড়পত্র (এনওসি) নিতে বলা হয়েছে। 

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন সেবাখাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়ার মুখে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ২০ সেপ্টেম্বর তা এক মাসের জন্য স্থগিত রাখেন।

 বন্দরে বর্তমানে ৫২টি খাতে মাশুল আদায় হয়। এর মধ্যে ২৩টি খাতে সরাসরি নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করা হচ্ছে। গেজেট অনুযায়ী ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলারের বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে আদায় করা হবে। প্রতি ডলারের হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। হার বাড়লে মাশুলও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে।

সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে মাশুল ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগের ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এতে গড়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আমদানি কনটেইনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রফতানি কনটেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রেও প্রায় ৩ হাজার টাকা বাড়তি খরচ যুক্ত হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে কনটেইনার পরিবহনে ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়বে।