নিজস্ব প্রতিবেদক

আরটিএনএন: দেশের বর্তমান চলমান প্রেক্ষাপটে বিশৃঙ্খলা রোধে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের জরুরী এক সভায় পাঁচ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আজ  সোমবার (১২ মে) বিকাল ৫টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম-মহাসচিব মো: আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন, তৌহিদুর রহমান, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, বায়েজিদ হাসান, নুরুজ্জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুমন জিমানুর রহমান, রহমত উল্লাহ বাবু আশরাফুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. বিপুল, আরিফুর রহমান, বাবুল আক্তার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান, আরিফ হুসাইন, স্বাস্থ্য ও পরি, কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শাহীন গোলাম রব্বানী, সাব্বির আহম্মেদ, রুহুল আমিন মো. আরিফ, আব্দুল কাদের, সোহেল রানা, আহসান হাবিব সিয়াম, শাহাদাৎ হোসেন, শামীমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ। 

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ যেহেতু সচিবালয়ের সকল সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ঐতিহ্যবাহী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকারী সংগঠন। সেহেতু সরকারী সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা ও পরিশীলিত আচরণের প্রতি সচেতন থেকে পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাদের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

এছাড়া বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান ও দাবী-দাওয়া আদায়ে তারা নিয়মতান্ত্রিক পন্থা থেকে বিচ্যুত হবেনা। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হঠকারী সিদ্ধান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোনরূপ সহায়তা প্রদান করবেনা এবং কাউকে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ প্রদান করবে না।

সভা থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোন গুজবকে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোন কার্যক্রমে বা মব সৃষ্ট কাজে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ কর্মচারীগণকে পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এরূপ অনিয়মতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণকে সচিববালয়ে অংগনে সকল ধরণের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সরকারকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে যথাসাধ্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান।

 সচিবালয়ের বাহিরে অবস্থিত কোন সংগঠন কর্তৃক আহত কোন প্রকার কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করার জন্য সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মচারীদেরকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বার্তা প্রাপ্তির পরও যদি কোন কর্মচারী উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য উক্ত কর্মচারীকেই যাবতীয় দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে এবং সংযুক্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কোনরূপ সহযোগিতা প্রদান করা হবেনা বলেও জানানো হয়।

বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের’ সাথে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই, বিধায় উক্ত সংগঠনের কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ না করা ও এতদবিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরে কর্মরত সকল স্তরের কর্মচারীগণকে পুনঃ অনুরোধ জানানো হয়।

সভা শেষ নেতৃবৃন্দ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেছুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সিনিয়র সচিব তাদের দাবী অনুযায়ী উপসচিবের ০৬ (ছয়) পদ সংরক্ষনের মঞ্জুরী জ্ঞাপনের সুসংবাদ প্রদান করেন এবং নিয়মতান্ত্রিক সকল দাবি সুবিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।