Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  
আরটিএনএন: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রাফায় ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফা শহরে আক্রমণ করে, তাহলে ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জর্ডানের অ্যামন নিউজ ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরব আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে আব্বাস এ মন্তব্য করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদী শাসক রাফা আক্রমণ করলে ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে। এজন্য তিনি রাফায় ইসরাইলের হামলা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় মাহমুদ আব্বাস পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, একটি ভয় রয়েছে যে ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীর থেকে জর্ডানে বাস্তুচ্যুত করবে এবং কোনো পরিস্থিতিতেই আমরা ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমির বাইরে বাস্তুচ্যুতকে মেনে নেব না।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, জর্ডান এবং মিসর ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার দৃঢ় বিরোধিতা করেছে।

আব্বাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে যা গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরকে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এখনও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ইতোমধ্যে দখলদার বাহিনীর হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের কাছাকাছি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ এই ভূখণ্ডটি সম্পূর্ণ অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। ফলে সেখানে বসবাসকারী দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে রয়েছে। জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একাধিকবার।