খেলা ডেস্ক
আরটিএনএন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে অপ্রতিরোধ্য ছিল আবাহনী লিমিটেড। নিজেদের ১৩ ম্যাচেই একক আধিপত্য বিস্তার করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের শীষ্যরা।
১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের পথেই আছে। শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে আর মাত্র একটিতে জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত।
আগামীকাল মঙ্গলবার সাভার বিকেএসপিতে শেখ জামালের মুখোমুখি হবে ধানমন্ডির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী। অথচ নিজেদের শেষ তিন ম্যাচের আগে একাদশ সাজানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তার কারণ আবাহনীর হয়ে খেলা লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলাম জিম্বাবুয়ে সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন।
আগামী ৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ সামনে রেখে রোববারই ঘোষণা করা হয় জাতীয় দল। তাতে জায়গা পেয়েছেন আবাহনীর ১০জন ক্রিকেটার। তারকা ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য ক্লাব ছাড়ায় বিপাকে পড়েছে আবাহনী।
এ ব্যাপারে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘না আসলে ওই বয়স তো নাই, না হয় নিজেই নেমে যেতাম। মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। আমাদের ১০জন খেলোয়াড় নাই, পেস বোলার খালেদ আর ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ইনজুরিতে। কাজেই ১২জন খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছে, এই ৬ জনের সঙ্গে আমি আগে এনেছিলাম আরও তিনজন। তাই ৯ জন আছে। দেখি আরও দুই একজন পাওয়া যায় কিনা।’
আবাহনীর কোচ আরও বলেন, ‘যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব। ইচ্ছা তো ছিলো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
তিনি আরও বলেন, 'প্রথম বিভাগ যারা খেলেছে তাদের নিতে পারব না। একদম নিবন্ধিত নয় এমন খেলোয়াড় নিতে হবে। আমি রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি দুজন। চেষ্টা করছি ১২-১৩ জন যোগাড় করতে। খালেদ আর জয় ইনজুরি না হলে এত সমস্যা হতো না।’
Comments